ICDS Question Paper in Bengali
ICDS Question Paper in Bengali: The Anganwadi Supervisor Syllabus & Exam Pattern will be helpful in scheduling the preparation for the Anganwadi Worker Written Exam in Bengali. Below, we have given the brief Anganwadi Worker Syllabus in Bengali for the applicant’s reference of exam of Worker Posts.
On this page, Applicants can check the below links for downloading the ICDS Worker Old Papers in Bengali. The Anganwadi Worker Exam Papers in Bengali will be helpful for the applicants in their preparation.
ICDS Model Question Papers in Bengali
১। ‘অঙ্গনা’ শব্দটির অর্থ কী?
উঃ। ‘অঙ্গনা’ শব্দটির অর্থ হল মহিলা বা স্ত্রীলোক।
২। I.C.D.S. শব্দটির অর্থ কী?
উঃ। I.C.D.S. শব্দটি Integrated Child Development Service-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। শব্দটির বাংলা অর্থ হল–সংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্প।
৩। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী কাদের বলা হয়?
উঃ। যে সমস্ত স্ত্রীলোক বা মহিলা কর্মীদের গ্রামের শিশু ও মহিলাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দানের জন্য নিয়োগ করা হয়, তাদের অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী বলা হয়।
৪। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের কে নিয়োগ করেন ?
উঃ। গ্রাম পঞ্চায়েত।
৫। গ্রাম পঞ্চায়েত কেন অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের নিয়োগ করেন ?
উঃ। প্রতিটি গ্রামের পঞ্চায়েতকে সেই গ্রামের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করতে হয়। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই হল পঞ্চায়েতের প্রধান উদ্দেশ্য। বিশেষ করে গ্রামের মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সার্বিক উন্নয়নের জন্যই ওঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের নিয়োগ করে থাকেন।
৬। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের সঙ্গে আই.সি.ডি.ডি.এস-এর কী সম্পর্ক?
উঃ। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীরা আই.সি.ডি.ডি.এস-এর উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করে।
৭। আই.সি.ডি.এস-এর কর্মসূচীর উদ্দেশ্য কী?
উঃ। আই.সি.ডি.এস-এর অর্থ ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস। কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত এটি একটি প্রামীণ শিশুকল্যাণ কর্মসূচী! এই কর্মসূচীর মুখ্য উদ্দেশ্যগুলি হল —
(ক) ছয় বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর পুষ্টির মান উন্নয়ন করা।
(খ) শিশুর মানসিক, শারীরিক বিকাশের বুনিয়াদকে দৃঢ় করা।
(গ) শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা বিষয়ে তার মাকে গভীরভাবে সচেতন করে তোলা।
(ঘ) শিশু মৃত্যু, শিশু রোগ ও অপুষ্টির হার কমিয়ে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ভিতকে আরো মজবুত করে তোলা।
৮। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের কর্মসূচির আওতায় কাদের আনা হয়?
উঃ। প্রসূতী নারী, গর্ভবতী মা ও ছয়মাস থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুরা এবং চোদ্দ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত অন্যান্য সব মহিলা।
৯। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের প্রধান কাজগুলি কী কী?
উঃ। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের বিভিন্ন ধরণের পরিষেবামূলক কাজ করতে হয়, যেমন—গর্ভবতী মহিলা, প্রসূতী মা, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির ব্যবস্থা করা। প্রতিষেধক টিকা দেওয়া, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেওয়া। গ্রামীণ মহিলাদের স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সংক্রান্ত বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হল অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের একটি প্রধান কাজ। এছাড়া কর্মীরা প্রতিবন্ধী শিশু চিহ্নিত করা এবং প্রতিবন্ধকতার কারণ নির্ণয় করে থাকেন। গ্রামীণ শিশুদের প্রথা বহিভূর্ত প্রাক্-বিদ্যালয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হল অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের আর একটি প্রধান কাজ।
১০। আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশি কেন?
উঃ। আমাদের দেশে বেশিরভাগ শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হল-(১) পরিবারের আর্থিক সমস্যার জন্য উপযুক্ত মানের খাদ্যের অভাব। (২) প্রসূতি মায়েরা শিশুদের ঠিকমতো যত্ন ও পুষ্টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। (৩) শিশুকে বুকের দুধ না দেওয়া, শিশুর স্বাস্থ্য ও সুস্থতা রক্ষার জন্য যে সমস্ত প্রতিষেধক টীকা দেওয়া অত্যাবশ্যক সেগুলি সময়মতো না দেওয়া। (৪) প্রধানত যে সমস্ত খাদ্য থেকে শিশুরা পুষ্টি পেতে পারে সে বিষয়ে অভিভাবকদের অনভিজ্ঞতা ইত্যাদি।
১১। খাদ্য কাকে বলে ?
উঃ। জীবেরা যে সকল অহার গ্রহণ করার পর শক্তি উৎপাদন করে থাকে এবং সেইসঙ্গে শরীরের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে দেহকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, সে সমস্ত আহার্য বস্তুকে খাদ্য বলে।
১২। একটি সুষম খাদ্যের উদাহরণ দাও।
উঃ। দুধ হল একটি সুষম খাদ্যের উদাহরণ।
১৩। খাদ্য থেকে আমরা কী ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য পেয়ে থাকি?
উঃ। আমরা খাদ্য থেকে উৎপাদিত যে সমস্ত রাসায়নিক দ্রব্যগুলি পেয়ে থাকি সেগুলি হল— প্রোটিন, ফ্যাট, খনিজলবন, ভিটামিন, শ্বেতসার প্রভৃতি।
১৪। শিশুদের ক্ষেত্রে কী কী রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়?
উঃ। ১. পোলিও, ২. হাম, ৩. ডিপথেরিয়া, ৪. হুপিং কাপ, ৫. টিটেনাস, ৬. কোয়াশিওকর প্রভৃতি।
১৫। একজন শিশুর সুস্থতা কীভাবে বোঝা যায়?
উঃ। একটি শিশু সঠিক সুস্থ এবং স্বাস্থ্যবান কিনা তা বোঝার জন্য শিশুটির ঠোট দেখতে হবে। দুটি হাত দিয়ে শিশুর ঠোট নীচে নামিয়ে ঠোটের ভেতরের অংশ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি দেখা যায় শিশুর ঠোট ফ্যাকাশে তাহলে বুঝতে হবে শিশুটি স্বাস্থ্যবান নয়।
১৬। দুটি সন্তানের জন্মের মধ্যে কত সময়ের পার্থক্য থাকা উচিত?
উঃ। দুটি সন্তানের জন্মের মধ্যে কমপক্ষে তিনবছর সময়ের পার্থক্য থাকা বাঞ্ছনীয়।
১৭। শিশু বিকাশের স্তরগুলি কী কী?
উঃ। (ক) শৈশব, (খ) বাল্য, (গ) কৈশোর, (ঘ) যৌবন।
১৮। শিশুর বৃদ্ধি কীভাবে লক্ষ্য করা যায় ?
উঃ। শিশুর হাতের বেড় মেপে শিশুবৃদ্ধির হার পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত হাতের বেড় পাঁচ ইঞ্চি অথবা তার থেকে সামান্য বেশি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
১৯। শিশুর চোখের যত্ন কীভাবে নেওয়া উচিত?
উঃ। শিশুর চোখের যত্ন নিতে হলে কয়েকটি দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেগুলি হল—(১) চোখ দুটি পরিষ্কার রাখতে হবে। (২) শিশুকে যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণ শাকসব্জী খাওয়াতে হবে। (৩) প্রতি মাসে একবার ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
২০। কীভাবে শিশুর অপুষ্টি দূর করা যায় ?
উঃ। প্রতিটি পরিবারের মহিলাদের আয়ের বেশির ভাগটাই তার শিশুর পেছনে খরচ হয়ে যায়। তাই শিশুর অপুষ্টি দূর করতে হলে মহিলাদের রোজগারের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
২১। জড়বুদ্ধি সম্পন্ন শিশু কাদের বলা হয় ?
উঃ। যে সমস্ত শিশু অন্যান্য শিশুদের তুলনায় দেরি করে হাঁটতে শিখছে, কথা বলতে শিখছে বা অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ দেরী করে শিখছে সেই সমস্ত শিশুদের জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু বলা হয়।
২২। শিশুর স্বাস্থ্যহানির প্রধান কারণগুলি কী কী?
উঃ। শিশুর স্বাস্থ্যহানির প্রধান কারণগুলি হল—(ক) অল্প ওজন বা অপরিণত বৃদ্ধি, (খ) পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব, (গ) পেটের অসুখ, (ঘ) সংক্রামক রোগের আক্রমণ।
২৩। শিশুর শরীর ও স্বাস্থ্য সবল রাখার জন্য কী কী নিয়ম পালন করা উচিত?
উঃ। শিশুর শরীর ও স্বাস্থ্য সবল রাখতে হলে যে সমস্ত নিয়ম পালন করতে হয় সেগুলি। —(ক) প্রতিদিন শিশুকে স্নান করানো উচিত, (খ) প্রত্যহ শিশুকে খাওয়ানোর আগে সাবান দিয়ে মায়ের হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত, (গ) রোগ জীবাণু থেকে শিশুর সব খাওয়ারকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে, (ঘ) শিশুর প্রয়োজনীয় পানীয় জলটি পরিশ্রত করে খাওয়াতে হবে।
২৪। শিশুকে খাওয়ানোর পদ্ধতি কী?
উঃ। শিশুকে খাওয়ানোর পদ্ধতিটি হ’ল-—(ক) যদি কোনো শিশু নতুন খাওয়ার খেতে অনিচ্ছুক হয় তাহলে, শিশুকে জোর করে না খাইয়ে কয়েকদিন অপেক্ষা করে আবার খাওয়ানো উচিত। (খ) বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে শক্ত খাওয়ার খাওয়ানো দরকার। (গ) শিশুকে একবার বেশি খাওয়ার না খাইয়ে বারে বারে খাবারের পরিমাণ বাড়ানো উচিত। এবং শিশুকে যতটা সম্ভব তার পছন্দসই খাবার খাওয়ানো উচিত। তবে দেখা উচিত খাবারটি তার শরীরের পক্ষে উপযুক্ত কিনা। (ঘ) প্রতিটি শিশুকে দিনে কমপক্ষে চারবার খাওয়ানো উচিত।
২৫। বাড়িতে পেটের রোগের চিকিৎসা কীভাবে করা যায় ?
উঃ। (ক) ভাতের জল, ডাবের জলের মতো তরল পানীয় পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে দিতে হয়। (খ) লবন, চিনি এবং জল দিয়ে বিশেষ জীবনদায়ী সরবৎ তৈরি করে খাওয়ানো দরকার।
২৬। শিশুরা বুড়ো আঙুল চোষে কেন?
উঃ। শিশুদের বুড়ো আঙুল চোষার কারণগুলি হ’ল—(ক) শিশুরা অল্প সময়ের জন্য মায়ের সান্নিধ্য পেয়ে থাকে এবং মায়ের স্তনে দুধের পরিমাণ কম থাকার কারণে যখন শিশুরা চুষে খেয়ে তৃপ্তি পায় না, তখন তারা বুড়ো আঙুল চোষে। (খ) কোনো কোনো শিশু অনেক সময় নিঃসঙ্গ থাকলে আনন্দের অভাবেও বুড়ো আঙুল চোষে। (গ) বয়সের উপযোগী চাহিদা পূরণ না হলেও অনেক শিশু বুড়ো আঙুল চুষে থাকে।
২৭। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা রোগের কারণ কী?
উঃ। রক্তে লোহিত কণিকার অভাব হল অ্যানিমিয়া রোগের প্রধান কারণ।
২৮। রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে? এই ভিটামিন কোন্ কোন্ খাদ্যদ্রব্যে পাওয়া যায় ?
উঃ। ভিটামিন-A এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। গাজর, পালং শাক, সজনে পাতা, পাকা পেপে, পাকা আম ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।
২৯। নারী স্বাক্ষরতার হার কত?
উঃ ১৯৯১ সালের জনগণনা অনুযায়ী আমাদের দেশে ১০০ জন নারীর মধ্যে মাত্র ৩৯ জন স্বাক্ষর ও আমাদের রাজ্যে ১০০ জন নারীর মধ্যে মাত্র ৪৭ জন স্বাক্ষর।
৩০। বর্তমানে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের মধ্যে কতভাগ আসন নারীর জন্য সংরক্ষণ করা আছে?
উঃ। এক তৃতীয়াংশ আসন।